✓ • || • | পরিচিতি: সাইয়েদ কুতুব শহীদ ও তার তাফসীর | • || • ✓
নাম ও বংশ পরিচয়:
নাম সাইয়েদ। কুতুব তাঁদের বংশীয় উপাধি। তাঁর পূর্বপুরুষগণ আরব উপদ্বীপ থেকে এসে মিসরের উত্তরাঞ্চলে উত্তরাঞ্চলে মূসা স্থানে স্থানে বসবাস শুরু করেন। তাঁর পিতার নাম হাজী ইব্রাহীম কুতুব। মায়ের নাম ফাতিমা হুসাইন ওসমান। তিনি অত্যন্ত দ্বীনদার ও আল্লাহভীরু মহিলা ছিলেন। সাইয়েদ কুতুব ১৯০৬ সনের ২০ শে জানুয়ারী শুক্রবার শুক্রবার পিত্রালয়ে জন্মগ্রহণ।। তিনি বড় সন্তান। মেজো মুহাম্মদ কুতুব। তারপর তিন বোন, হামিদা কুতুব, আমিনা কুতুব, তৃতীয় বোনের নাম জানা যায়নি।
শিক্ষা জীবন:
মায়ের ইচ্ছেনুযায়ী তিনি শৈশবেই পবিত্র কুরআন কণ্ঠস্থ (হিফয) করেন। দারুল উলুম কায়রো (বর্তমান নাম কায়রো ইউনিভার্সিটি) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৩৩ সনে বি, এ. পাশ করেন এবং ডিপ্লোমা-ইন-এডুকেশন ডিগ্রী লাভ করেন। এ ডিগ্রীই তখন প্রমাণ করতো, এ ছেলে অত্যন্ত মেধাবী।
কর্মজীবন:
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী নেবার পর সেখানেই তাঁকে অধ্যাপক অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। বেশ কিছুদিন সফলভাবে অধ্যাপনা করার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্কুল ইন্সপেক্টর নিযুক্ত হন। এ পদটি ছিল মিসরে অত্যন্ত সম্মানজনক পদ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেই তাঁকে ১৯৪৯ সনে শিক্ষার ওপর ওপর গবেষণামূলক ডিগ্রী সংগ্রহের সংগ্রহের জন্য আমেরিকা পাঠানো হয়। সেখানে দু’বছর লেখাপড়া ও গবেষণা শেষে ১৯৫১ সনে সনে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। আমেরিকা থাকাকালিন সময়েই বস্তুবাদী সমাজের দুরাবস্থা লক্ষ্য করেন করেন এবং তাঁর দৃঢ় জন্মে, একমাত্র ইসলামই আক্ষরিক অর্থে মানব মানব সমাজকে কল্যাণের পথে নিয়ে নিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এরপর তিনি দেশে ফিরে ইসলামের ওপর ব্যাপক অধ্যয়ন অধ্যয়ন ও গবেষণা শুরু করেন। সেই গবেষণার ফসল ‘কুরআনে আঁকা কিয়ামতের চিত্র চিত্র’ ‘আল আল কুরআনের শৈল্পিক সৌন্দর্য’ ’
১৯৫৫ সনের ১৩ ই জুলাই বিচারের নামে এক এক প্রহসন হয় হয় এবং পনের পনের বৎসর সশ্রম সশ্রম কারাদণ্ড কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। তাঁকে নির্যাতন করে এতো অসুস্থ ও দুর্বল করা হয়, যার ফলে তিনি আদালতে পর্যন্ত পর্যন্ত হাজির হতে পারেননি। এক বছর সশ্রম দণ্ড ভোগের পর নাসের সরকার সরকার তাকে করেন তিনি, তিনি যদি সংবাদপত্রের মাধ্যমে মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করেন করেন তবে তাকে মুক্তি দেয়া দেয়া হবে। মর্দে মুমিন এ প্রস্তাবের যে উত্তর দিয়েছিলেন তা তা যুগে ইসলামী ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের আলোকবর্তিকা হিসেবে হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেছিলেন: আমি এ প্রস্তাবে এ কারণেই বিস্ময় বিস্ময় করছি যে, একজন জালিম কি কি করে একজন মজলুমকে ক্ষমা ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলতে বলতে পারে। আল্লাহর কসম! যদি ক্ষমা প্রার্থনার কয়েকটি শব্দ আমাকে ফাঁসি থেকেও থেকেও রেহাই দিতে পারে তবু আমি এরূপ উচ্চারণ উচ্চারণ করতে করতে নই। আমি আল্লাহর দরবারে এমনভাবে পৌঁছুতে চাই যে, তিনি আমার ওপর এবং আমি তাঁর ওপর ওপর।।
জেল থেকে মুক্তি লাভ:
১৯৬৪ সনের মাঝামাঝি ইরাকের প্রেসিডেন্ট আবদুস সালাম আরিফ আরিফ মিসর সফরে যান এবং তিনি সাইয়েদ কুতুবের কুতুবের মুক্তির মুক্তির করেন। ফলে তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। তিনি জেলে থাকা অবস্থায় দীর্ঘ ১০ বছরে বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিখ্যাত “ফি যিলালিল কুরআন কুরআন রচনা করেন।
দ্বিতীয়বার গ্রেফতার ও শাহাদাত:
এক বছর যেতে না যেতেই তাঁকে ক্ষমতা দখলের দখলের চেষ্টার দিয়ে দিয়ে আবার গ্রেফতার করা হয়। সাথে চার ভাই-বোনসহ বিশ হাজার লোককে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তার মধ্যে প্রায় ৭ ৭ শ ’’ ছিল।
অতঃপর নামমাত্র বিচার অনুষ্ঠান করে তাঁকে এবং তাঁর তাঁর দুই সাথীকে ফাঁসির নির্দেশ দেয়া হয় এবং ১৯৬৬ ১৯৬৬ সনের ২৯ শে শে তা তা তা তা কার্যকর কার্যকর করা হয়। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
✓ • || • ✓আল-কুরআন ও সাইয়েদ কুতুব:
ফী যিলালিল কুরআন মানে কুরআনের ছায়া তলে। সাইয়েদ কুতুব মনে করেন যে কুরআনের ছায়ায় বাস করতে পারা, তার অর্থ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে চিন্তাভাবনা এবং এবং তা আলার আলার আলার আলার কেতাব কেতাব অনুধাবনের অনুধাবনের এমন এমন সৌভাগ্যের সৌভাগ্যের ব্যাপার যার যার পারেন পারেন সময়গুলোকে কুরআন রেখেছেন রেখেছেন রেখেছেন রেখেছেন বোঝার রেখেছেন রেখেছেন বোঝার বোঝার রেখেছেন বোঝার এবং কুরআনের পথে চলে নিজের জীবনকে পূত ও ও পবিত্র করে।। সাইয়েদ কুতুব এই তাফসীরে এ কথা তুলে ধরেছেন যে, যদি কেউ কুরআনের ছায়ায় বাস করতে প্রস্তুত থাকে এবং এবং অনুযায়ী এর এর এর মর্মবাণী করতে করতে করতে রাজী রাজী এর আনুষাঙ্গিক আনুষাঙ্গিক আধ্যাত্মিক আধ্যাত্মিক সারমর্ম উপলব্ধি সম্ভব সম্ভব হয়।। সাইয়েদ কুতুব নিজে কুরআনের ছায়ায় বাস করেছেন এবং এবং আধুনিক জাহিলিয়াতে নিমজ্জিত পুরো মানব জাতিকে কুরআনের ছায়ায় আসার আসার তার তার উপকৃত হবার হবার হবার জানিয়েছেন জানিয়েছেন জানিয়েছেন, জানিয়েছেন তাফসীরের মাধ্যমে। এ কারণে তাফসীর ‘ফী যিলালিল কুরআন’ বা কুরআনের ছায়াতলে নামকরণ নামকরণ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও ও যথার্থ হয়েছে।